
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে দূরত্ব বেড়েছে ভারতের। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির। এর ফলে জল্পনা বৃদ্ধি পায়, ভারতকে দূরে সরিয়ে পাকিস্তানকে কি কাছে টেনে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? তবে এমন জল্পনার পর যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিল, ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের সঙ্গেই তাদের সম্পর্ক ‘অপরিবর্তিত’ এবং তাদের কূটনীতিকরা ‘উভয় দেশের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ খবর এমএসএনের।
এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এই কথা বলেন। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের কথা স্মরণ করে ব্রুস বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে আমাদের এমন একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে —যখন একটি সংঘাত (পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দুই দেশের হামলা-পাল্টা হামলা) হয়েছিল, যা বেশ ভয়াবহ কিছুতে পরিণত হতে পারত।’
ব্রুস আরও বলেন, ‘(ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের সময়) কী ঘটছে তার ধরন নিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে তাৎক্ষণিক উদ্বেগ ছিল এবং বিচলিত ছিলেন তারা।’
মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের দূরত্ব ও আসিম মুনিরের সঙ্গে সাম্প্রতিক সাক্ষাতের পর যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সহায়তা এবং অস্ত্র বিক্রি বাড়াবে কি না জানতে চাইলে ব্রুস বলেন, ‘উভয় দেশের সঙ্গেই মার্কিন সম্পর্ক অপরিবর্তিত রয়েছে—ভালো। কূটনীতিকরা উভয় দেশের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ব্রুস ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক মার্কিন-পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী সংলাপের কথাও তুলে ধরেন, ‘ইসলামাবাদে সর্বশেষ আলোচনার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবেলায় সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তান।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই অঞ্চল এবং বিশ্বের (শান্তির) জন্য, উভয় দেশের সঙ্গে আমেরিকার কাজ করার ব্যাপারটি একটি ভালো সংবাদ এবং এটি একটি কল্যাণকর ভবিষ্যৎকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
গত জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত মধ্যাহ্নভোজন করেন আসিম মুনির। তার দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন তিনি। গত রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটনে পৌঁছান পাকিস্তান সেনাপ্রধান।